উইণ্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে কিভাবে আপনার ডকুমেন্ট সুরক্ষিত করবেন

আমি
মাঝে
মধ্যেই
দেখি
আমার
জানাশোনা
লেখকবন্ধুরা তাঁদের ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ খারাপ হয়ে যাবার কারনে লেখা হারিয়ে ফেলছেন। আমি লেখক নই কিন্তু জীবিকার খাতিরে আমায় নানারকম লেখালেখি করতে হয়। সেগুলি হারিয়ে গেলে বা মেশিন খারাপ হয়ে গেলে আমার পাগল দশা হবে। তার প্রতিকার হিসাবে আমি মাঝে মাঝেই আমার ফ্লপিতে বা সিডিতে কপি করে নিতাম। তা আপনি কত ঘন ঘন সেই কাজটা করবেন? দিনের শেষে আপনাকে মনে করে রাখতে হবে। ভুলে গেলে চলবে না। কাজ চলাকালীন দিনের মাঝেও মেশিন খারাপ হয়ে যেতে পারে। আমি এইখানে আলোচনা করব কিভাবে আপনি আপনার কাজ সুরক্ষিত করবেন বারবার সিডি বা পেন-ড্রাইভে সেভ না করেও। এর আগে কতগুলি কথা বলে নিই,

১) আপনি অবশ্যই উইনডোজ অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করছে ধরে নেওয়া যেতে পারে। তাহলে অবশ্যই উইনডোজ টেন অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করবেন। আপনি যদি ল্যাপটপ কিনে থাকেন তাহলে আপনি সাথে অপারেটিং সিস্টেম পেয়েছিলেন। সেটাকে আপগ্রেড করে নেবেন। মাইক্রোসফট কোম্পানি, যে এই অপারেটিং সিস্টেম বানিয়েছে তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে উইনডোজ ১০ এর পর আর কোন মেজর অপারেটিং সিস্টেম আসবে না। এক অর্থ হোল একবার আপনি উইনডোজ ১০ কিনলে সারাজীবন তা ব্যবহার করতে পারবেন। আর নতুন অপারেটিং সিস্টেম আসবে না মাইক্রোসফট থেকে। মজার ব্যাপার। এখুনি আপনার মেশিন উইনডোজ ১০ বানিয়ে ফেলুন।

এর অনেক সুবিধে আছে। যেমন সিকুইরিটি আপডেট পাবেন নিয়মিত, যা আপনার মেশিনকে সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করবে। দুনিয়ায় এখন সবচেয়ে বেশী আক্রান্ত অপারেটিং সিস্টেম উইনডোজ এক্সপি। কারন মাইক্রোসফট আর তার সিকুইরিটি আপডেট বের করে না। ফলে হ্যাকাররা এর সুযোগে দুনিয়ার নানা মেশিনে উঁকি মেরে আসে। ব্যাঙ্কগুলিতে কিছুদিন আগেও আমি উইনডোজ এক্সপি দেখেছি। একবার ব্যাঙ্ক আক্রান্ত হলে কথা নেই, কোটি কোটি টাকা শুধু চুরি হবে না, ব্যাঙ্কের নাম ডুবে যাবে।

আপনি হয়তো ভাবছেন যে আপনাকে এইসব ভাবতে হবে কেন, আপনি তো ব্যাঙ্ক নন। তা ঠিক, কিন্তু আপনারও এমন অনেক কিছু আছে যা আপনি সুরক্ষিত করতে চান। টাকা পয়সা ছাড়াও আপনার অনেক জিনিস আছে যা অন্যের হাতে যাওয়া বাঞ্ছনীয় নয়।

২) এরপর ধরে নিচ্ছি আপনি বেশিরভাগ কাজ করছেন মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ডকুমেন্টে।

৩) আপনার একটি Outlook.com বা Live.com বা Hotmail.com এ অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। এর সাথে আপনি ৫ জিবির একটি ফ্রি স্টোরেজ পাবেন সারাজীবনের জন্যে। খালি ডকুমেন্ট রাখলে আপনি অনেক লিখতে পারবেন। ধরে নিন আপনি রবীন্দ্রনাথের মত নিরন্তর লিখে চলেছেন। তাতেও অসুবিধা নেই।

এরপর আমরা দেখব কিভাবে আপনি এগোবেন,

১) কিবোর্ডে আপনি টাইপ করুন Store এবং ওপেন করুন স্টোর অ্যাপ্লিকেশন। এ অনেকটা Google Play র মত যেখান থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করা যায়।

২) প্রথমবার আপনার লগ-ইন চাইবে। আপনার Outlook.com আইডি দিয়ে লগ-ইন করে ফেলুন।

তারপর সার্চ করুন OneDrive এবং ইনস্টল করে ফেলুন।

৩) ইনস্টল করা হয়ে গেলে তা উইন্ডোজের স্টার্ট মেনু থেকে ওপেন করুন

৪) প্রথমবার ওপেন করলে এই অপশনটা পাবেন। আপনার outlook.com আইডিটা দিয়ে লগ-ইন করে ফেলুন। ব্যাস এই হোল আপনার ফোল্ডার। যাতে আপনি আপনার সৃষ্টি সেভ করবেন।

এবার দেখে নিই কিভাবে সেভ করবেন,

১) প্রথমে নিজের মেশিনে যেকোন যায়গায় একটা ব্ল্যাঙ্ক ফাইল বানিয়ে ফেলুন, তারপর + চিহ্ন ক্লিক করে তা আপনার ফোল্ডারে যুক্ত করুন। ফোল্ডার বানানো খুবই সোজা। নিচে দুটি পরপর দেখানো হল, প্রথমে ফোল্ডার বানানো তারপর ফাইল অ্যাড করা।

পরেরবার থেকে সরাসরি অ্যাপ থেকে ফাইল খুলবেন।

আপনার যদি ইন্টারনেট ছাড়া কাজ করার দরকার হয় তাহলে আপনি offline করে নিতে পারেন।

এছাড়াও আপনি সরাসরি এই ফাইলটিকে ব্রাউসার দিয়েও ওপেন করতে পারেন। সেক্ষেত্রে আপনার ওয়ার্ড না হলেও চলবে। ব্রাউসারেও ওয়ার্ড অনলাইন খোলে। আপনি মোবাইল থেকেও এই ফাইল খুলতে পারবেন। আপনার ফাইল সরাসরি ক্লাউডে (মেঘ না) সেভ হবে। রাগ করে আপনি আপনার মেশিন ভেঙ্গেও ফেলতে পারেন তাও আপনার ফাইল সুরক্ষিত থাকবে।

আশাকরি এরপর আপনাকে আর ফাইল হারিয়ে বা নষ্ট হয়ে যাবার ব্যথায় ব্যথিত হতে হবে না।

নমস্কার!!!